কবি ডাঃ মাহবুবুর রহমান খানের সৃষ্টি জগৎ নানা বৈশিষ্ট্যে বিশাল। তবে তা কেবল সংখ্যাতত্ত্বে নয়, গুণতত্ত্বের চেতনাসিদ্ধ বৈচিত্র্যে অনন্য। এ অনন্য সাহিত্য ভাণ্ডার এর মূল্যায়ন-বিশ্লেষণ, গুরুত্ব অর্থতত্ত্বে বা পাঠক পরিমাপে যথেষ্ট উদ্দীপকের ভূমিকা রাখে। শুধু ভালোলাগা থেকে কবিতা নয়- কবিতা থেকেও কবির ভালোলাগা হয়েছে। তারই সমর্থনে যুক্তি প্রদান তার কবিতাগুলোতে গণমাত্রা তৈরি করেছে। কবিতাগুলোতে বাইরের জিনিসকে অন্তরে এবং তার রসায়নই যে তার নির্যাস তা তার চিত্তের উচ্ছ্বাস থেকেই বোঝা যায়। কবি যেন গ্রহীতা আর প্রকৃতি হচ্ছে দাতা । প্রকৃতির অকৃপণ দান কবি আনন্দচিত্তে গ্রহণ করেছেন।
কবি স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। সব মানুষই দেখে থাকে, দেখতে হয়। তাকে দেখতে হয়েছে আরও বেশি করে। কবিদের দেখতে হয়। তার কবিতাগুলোতে স্বপ্নের আলোছায়ায় চিত্রল বর্ণসম্পাত ঘটেছে। সেই স্বপ্ন আর ইচ্ছার পাখায় উড়ার বাসনায় তার লেখনি। কবি হৃদয়ে স্তরে স্তরে যে বিষাদের আচ্ছাদন ছিল তা ভেদ করে তার ভেতরটাতে বিশ্বের আলোক যেন বিচ্ছুরিত হয়ে পড়েছে। কবি সত্যে আত্মবিশ্বাসী সৃষ্টিশীল সাহসী উৎফুল্ল চেতনায় অস্থির।
এ কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলোতে কবির কয়েকটি অনুভূতি স্পষ্ট হয়েছে যেমন অভিভূত হওয়া, বিমুগ্ধতা, জাগরণ, গতিবাদ, প্রথাবিরোধিতা, প্রকৃতি-স্তুতি, বিদ্রোহ এবং জীবন প্রকৃতির অন্বয়। দৃষ্টিতে যে সুন্দর, তার ছোঁয়ায় মন- প্রাণে আসে শিহরণ এবং সৃজন। সেই সৃজন কবি মনের। কবি কবিতার স্বার্থে নিরপেক্ষ থেকে জেগে উঠেছেন সৃজনের শক্তিতে। কবির মনের খবর কেউ রাখেনা, তা থাকে জীবন যাপনের আবরণে ঢাকা। এ কাব্য গ্রন্থটি কবির দীর্ঘদিনের অপেক্ষার ফল।
©2024. | Designed and Developed By: OSSL | All rights reserved. 2025 | Admin-Panal